প্রাইম খেলাধুলা :
চেফস্ট্রুম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ৩২০ রানে অলআউট করে ১৭৬ রানের লিড পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দুটি উইকেট নিতে চা বিরতির পর খুব বেশি সময় নিল না দক্ষিণ আফ্রিকা। রাবাদার বাউন্সারে মিরাজের বিদায়ের পর শফিউলকে ফিরিয়ে ইনিংসের ইতি টানলেন মহারাজ। স্লিপে দারুণ ক্যাচ নিলেন হাশিম আমলা।
এর আগে মাহমুদুল্লাহ মহারাজকে ছক্কা মারলেন তাতে ফলো-অন তো এড়ালোই পাশাপাশি ৩০০ স্পর্শ করল বাংলাদেশ। কিন্তু সেশনটি শুরু হয়েছিল অনেক আশা নিয়ে। উইকেটে ছিলেন মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহ জমেও গিয়েছিল জুটি। সেশন শেষ হতেই শেষ বাংলাদেশের বড় রানের আশাও। তৃতীয় দিনের চা বিরতিতে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ৩০৮। সেশনে রান এসেছে ৯০, উইকেট পড়েছে ৪টি। মাহমুদউল্লাহ ও মুমিনুলের পাশাপাশি হারাতে হয়েছে সাব্বির ও তাসকিনকেও। ব্যবধান কিছু কমাতে ভরসা এখন মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট।
৮৪ ওভারের মাঝপথে ২য় নতুন বল নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কাজ করল জাদুমন্ত্রের মত। প্রথম বলেই বোল্ড মাহমুদউল্লাহ! ৬৬ রানে আউট মাহমুদউল্লাহ।
ফলো অন এড়ানোর ঠিক আগে দৃষ্টিকটুভাবে আউট হলেন সাব্বির। ভাঙল ৬৫ রানের জুটি। সাব্বির আউট হলেন ৩০ রানে।
সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন বড় কিছুর। কিন্তু সেটি রয়ে গেল অপূর্ণ। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ওভারেই আউট মুমিনুল হক। ১৫০ বলে ১২ চারে ৭৭ রানে ফিরলেন মুমিনুল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০০২ সালে ইস্ট লন্ডনে আল শাহরিয়ারের ৭১ ছিল আগের সর্বোচ্চ।
সকালে রাবাদার রিভার্স সুইং, মর্নে মর্কেলের বাউন্স দারুণভাবে সামলালেন তামিম। কিন্তু আউট হলেন কিনা আন্দিলে ফেলুকওয়ায়োর বাজে এক বলে! লেগ স্টাম্প থেকে বেরিয়ে যাওয়া বলে গ্লান্স করেছিলেন তামিম। বল তার ব্যাট ছুঁয়ে দেয় আলতো করে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় গ্লাভসে জমান কুইন্টন ডি কক। ৪১ রানে বিদায় তামিমের। ভাঙল ৫৫ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।