প্রাইম ডেস্ক :
মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় জীবন দিতে হল এক বাবাকে। গুরুতর আহত খালা বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার বেড়া পৌর এলাকার দাসপাড়া মহল্লায়।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে বেড়া পৌর এলাকার দাসপাড়া মহল্লার শাজাহানের (৩৫) সঙ্গে বিয়ে হয় একই এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের মেয়ে মারিয়া খাতুনের (২৫)। বিয়ের পর শাজাহান বিদেশ চলে যায়। এ সুযোগে শাজাহানের ভাতিজা আহসানের ছেলে সবুজ (২২) বিভিন্ন সময় চাচি মারিয়াকে কুপ্রস্তাব দেয়। বিষয়টি পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে জানালে এ নিয়ে পারিবারিক শালিস বৈঠক হয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে আটটায় মারিয়া তার মেয়েকে প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় সবুজ তার রাস্তা অবরোধ করে। এমনকি তার সঙ্গে জোরপূর্বক টানা হেচড়া করে। মারিয়া চিৎকার করলে বাবা মোয়াজ্জেম ও খালা হাসিনা খাতুন এগিয়ে এসে প্রতিবাদ জানায়। সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
তারা মোয়াজ্জেম ও হাসনিাকে রামদা, হাসুয়া দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মোয়াজ্জেম মারা যায়। আহত হাসিনাকে উদ্ধার করে বেড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর পেয়ে বেড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি উত্ত্যক্তের ঘটনা অস্বীকার করে জানান, ঘটানাটি তাদের পারিবারিক দ্বন্ধের জের ধরে ঘটেছে। পুলিশ আহসান শেখ, কোমর শেখ ও আমোদ আলী শেখ নামের তিনজনকে আটক করেছে।