প্রাইম ডেস্ক :
অপহরণের কবল থেকে পালিয়ে এসেছেন স্কুল শিক্ষিকা কুমারী কিশোরী বালাধর (৫০)। গত শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় কুমিল্লার হোমনায় তার ভাড়া বাসায় ফিরে আসেন। ফিরে এসে জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে তিনি হোমনা সদরের বাসা থেকে পাশ্ববর্তী তিতাস নদীতে গোসলের উদ্দেশ্যে বের হন। নদীর ঘাটে পৌঁছার আগেই উপজেলা খাদ্যগুদাম সংলগ্ন রাস্তায় অপরিচিত কয়েকজন তার পথরোধ করে ধাক্কা দিয়ে তাকে একটি কালো গাড়িতে তুলে নিয়ে মুখে রুমাল চেপে ধরেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরদিন শুক্রবার বিকেলে তার জ্ঞান ফিরলে দেখেন- চার দেওয়ালের ভেতওে তিনি বন্দি। পূর্ব থেকে সেখানে আরও দুটি মেয়ে একজনের নাম তিশা অপরজনের নাম মনে রাখতে পারেননি ও ২/৩ জন শিশু বাচ্চাও ছিল। সন্ধ্যায় মুখ বাধা একজন মহিলা জানালা দিয়ে তাকে পাউরুটি আর চা খেতে দেয়। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কেউ একজন মুখে কালো কাপড় বেধে এসে তাদের সঙ্গের একটি বাচ্চা নিয়ে যায়। পর মুহূর্তে তিনি ওই দরজায় ধাক্কা দিলে দরজাটি খুলে যায়। বলেন, মনে হয় দরজা আটকাতে ভুলে গিয়েছিল তারা। সঙ্গে সঙ্গে তিশা আর তিনি দৌড়ে পালান। অনেক দূর এসে সাইনবোর্ডে সিতাকু- লেখা দেখে বুঝতে পারেন ওই স্থানের নাম। কীভাবে ঢাকা যওয়া যাবে- লোকজনের কাছে জেনে সেখান থেকে মেঘনা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে উঠেন। পথিমধ্যে তিশা নেমে পড়েন। দাউদকান্দির গৌরীপুরে তিনি নেমে বাসের কন্ডাক্টর-ড্রাইভারের মোবাইল থেকে বাড়িতে ফোন করলে তার বোনের ছেলে নন্দন ধর গিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কুমারী কিশোরী বালাধর উপজেলার কৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের ওমরাবাদ গ্রামের মৃত অনাথ সুত্রধরের মেয়ে।
এ বিষয়ে হোমনা সার্কেল সাইফুর রহমান আজাদ ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামী জানান, তাকে জিঞ্জাসাবাদ করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।